নির্ভয় ফাউন্ডেশনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ
অসহায় পীড়িতদের মাঝে রমজানে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নির্ভয় ফাউন্ডেশন। নিজেদের নিরাপত্তায় সচেতন থেকে বাড়িবাড়ি গিয়ে স্বেচ্ছাসেবীরা পৌঁছে দিচ্ছে ইফতার সামগ্রী।
“বাজান বুট (ছোলা), মুড়ি, ডাইল (ডাল) খাওনের মতো দাঁত আমার নাই। যদি দিবারই চাও, তয় আমারে তিন কেজি চিনি দিও”। কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সত্তরোর্ধ্ব নারী চিলু বুড়ি। অতিরিক্ত চিনি ভক্তির জন্য তিনি পরিচিতি পেয়েছেন এই নামেই। স্বেচ্ছাসেবীরা লকডাউনে ইফতার সামগ্রী নিয়ে গেলে তিনি শুধু চিনি রেখে বাকী সবকিছু ফিরিয়ে দেন।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি পৌরসভার রফিকুল ইসলামের এক পা নেই, অন্য পাও দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দী। একসময় বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তির শুরু করলেও বর্তমানে চায়ের একটি দোকান চালাতেন। করোনা মহামারির জন্য লকডাউনে ঘরে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। ইফতার সামগ্রী হাতে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন তিনি।
কার্যক্রম নিয়ে সংগঠনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ কামাল কৌশিক বলেন, ময়মনসিংহের ত্রিশালে, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি, জামালপুরের মেলান্দহ, নেত্রকোনার সদর ও কুমিল্লার লাকসামে দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। প্রাথমিকভাবে ১০০ পরিবারের মাঝে বিতরণের লক্ষ্য থাকলেও সকলের সহযোগিতায় আরও ৫০ এর বেশি পরিবারে ইফতারের উপহার পৌঁছে দিচ্ছি আমরা।
তিনি আরও জানান, ইফতার সামগ্রীর মাঝে ছিল- ১ কেজি মুড়ি, ছোলা, পিঁয়াজ, আলু, ৫০০ গ্রাম খেজুর ও চিনি এবং ৫০০ মি.লি. সয়াবিন তেল। পরিমাণ যৎসামান্য হলেও তার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন।
প্রসঙ্গত, নির্ভয় ফাউন্ডেশন ২০১৭ সাল থেকে সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি), ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় বর্তমানে সংগঠনের ৪টি শাখার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি শিশু শিক্ষা, অসহায়দের স্বাবলম্বীকরণ, বিনামূল্যে রক্তদান ও গ্রুপ নির্ণয়, উন্মুক্ত পাঠাগার, পরিবেশ বিষয়ে কাজ করছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে দেশের ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে রয়েছে সংগঠনের প্রতিনিধি।
ওডি/এসবি/ডেস্ক