December 23, 2024

আমাকে বিক্রি করব, বিনিময়ে টেকসই বেড়িবাঁধ চাই

0

গত রবিবার (১৭ জুলাই) থেকে শুরু করে আজ টানা তৃতীয় দিনের মতো প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে পশ্চিম দূর্গাবাটি এলাকার ভাঙা বাঁধে এক উপকূলীয় তরুণ জান্নাতুল নাঈম অবস্থান নিয়েছেন।

তাঁর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, আমাকে বিক্রি করব, কিনবেন কেউ? বিনিময়ে… টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।

বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার ঘটনা নতুন কিছু নয়, প্রতি বছরই উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভাঙছে সাতক্ষীরা উপকূলের বিভিন্ন স্থানে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় জনপদের বিস্তীর্ণ এলাকা, চিংড়ি ঘের, কাকড়া খামার। দেখা দেয় সুপেয় পানির সমস্যা।  

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম দূর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর ১৫০ ফুট উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙন কবলিত সেই বাঁধের উপর ব্যতিক্রমী প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শরুব ইয়ুথ টিমের পরিচালক জান্নাতুল নাইম। 

এই অভিনব প্রতিবাদের বিষয়ে নাঈম বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় প্রতিনিয়তই বেড়িবাঁধ ভাঙ্গে। অব্যবস্থাপনা ও দুর্বল বাঁধ দেয়ার ফলে প্রতি বছরই এই এলাকার মানুষ লোনা পানিতে প্লাবিত হয়ে সুপেয় পানির অভাবে কষ্ট পায়। ভঙ্গুর ও নাজুক বাঁধ এর পরিবর্তে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জানিয়েছেন এই তরুণ।

হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড সম্পর্কে জান্নাতুল নাঈম বলেন, “এটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে  একটি অহিংস প্রতিবাদ স্বরুপ এই প্ল্যাকার্ড টি নিয়ে বসেছি। আমরা চাই যথাযথ কর্তৃপক্ষ টেকসই বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। যদি না দিতে পারে তবে আমাকে কিনে বা বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ করুন”।

এদিকে, গত ১৪ জুলাই ভেঙে যাওয়া সেই বেড়িবাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। 

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গের কেউ নাইমের আন্দোলনের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি বা নাইমের সাথে কথা বলেন নি। নাইম তাঁর আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চান এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের পক্ষে এই দাবীকে আরো জোরালো করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এসবি/এআই

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *